নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : লকডাউনের পর থেকে শেওড়াফুলি প্লাটফর্মে থাকা ভবঘুরেদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করনে জিআরপি, আরপিএফ ,শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ এবং বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীরা। অভিভাবকদের সাথে বাজারে এসে স্টেশনের উপর ভরঘুরেদের খাওয়ানো হচ্ছে দেখতে পায় দুই শিশু। বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের করতে থাকে নান রকম প্রশ্ন। অভিভাবকদের সঠিক উত্তর বুঝতে পেরে দুই শিশু ঠিক করে তারাও খাওয়াবে। বৈদ্যবাটীর এনসি ব্যানার্জী রোডের দুই শিশু শ্রীশান্ত গুপ্তা (৪) সৌমিদ্ধি ভগত (৩) তাদের অভিভাবকদের জানায় ভান্ডারের জমানো পয়সা দিয়ে ভবঘুরেদের খাওয়ানোর কথা। আর সেই কথা ফেলতে পারেনি দুই পরিবার। পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করে শেওড়াফুলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শুভাশীষ দাসের সঙ্গে। তিনিও মানুষকে খাওয়াতে খুব ভালবাসেন। দুই পরিবার এবং শুভাশীষবাবু বসে ঠিক করেনে কবে খাওয়ানো যায়। দুই শিশু টিফিনের পয়সা জমিয়ে রাখতো ভান্ডারে। জমে তা হয়ে ছিল বেশ কিছু টাকা। ৪০০ মানুষকে খাওয়াতে গেলে লাগবে আরো টাকা । সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় শুভাশীষ দাস। সাত দিন আগে তৈরী হয়ে যায় মেনু। শুক্রবার সকাল থেকে কেনা কাটি শুরু করেন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় রান্না। দুই পরিবার ও শুভাশীষ দাস নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে রান্নার দেখা শোনা করেন। দুপুর হতে ভিড় জমতে থাকে স্টেশন চত্ত্বরে। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় খাওয়ানো। শুধু ভবঘুরে নয় স্টেশন চত্বরে আশে পাশে থাকা গরিব মানুষদের এদিন খাওয়ানো হয় শেওড়াফুলি চার নং প্লাটফর্মে। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল,পটল আলুর তরকারি, মুরগির মাংস এবং শেষ পাতে মিষ্টি।পরিবারের এক সদস্য বলেন আমাদের পাশে এই ভাবে দাঁড়াবে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির বড় বাবু সহ পুলিশকর্মীরা ভাবতেই পারিনি। আমরা সবাই মিলে তাদের পাশে থেকে খাওয়াতে পেরেছি এর থেকে বড় আনন্দ আর কিছু হয় না।