দুই শিশুর জমানো টাকায় খাওয়ানো হল শেওড়াফুলি স্টেশনে ভবঘুরেদের

29th May 2020 হুগলী
দুই শিশুর জমানো টাকায় খাওয়ানো হল শেওড়াফুলি স্টেশনে ভবঘুরেদের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  লকডাউনের পর থেকে  শেওড়াফুলি প্লাটফর্মে থাকা ভবঘুরেদের   খাওয়ানোর ব্যবস্থা করনে জিআরপি, আরপিএফ ,শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ  এবং বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীরা। অভিভাবকদের সাথে বাজারে এসে স্টেশনের উপর ভরঘুরেদের খাওয়ানো হচ্ছে দেখতে পায় দুই শিশু। বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের করতে থাকে নান রকম প্রশ্ন। অভিভাবকদের সঠিক উত্তর বুঝতে পেরে দুই শিশু ঠিক করে তারাও  খাওয়াবে।  বৈদ্যবাটীর এনসি ব্যানার্জী রোডের দুই শিশু  শ্রীশান্ত গুপ্তা (৪) সৌমিদ্ধি ভগত (৩)  তাদের অভিভাবকদের জানায় ভান্ডারের জমানো পয়সা দিয়ে ভবঘুরেদের খাওয়ানোর কথা।  আর সেই  কথা ফেলতে পারেনি দুই পরিবার। পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করে শেওড়াফুলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শুভাশীষ দাসের সঙ্গে। তিনিও মানুষকে খাওয়াতে খুব ভালবাসেন। দুই পরিবার এবং শুভাশীষবাবু বসে ঠিক করেনে কবে খাওয়ানো যায়। দুই শিশু টিফিনের পয়সা জমিয়ে রাখতো ভান্ডারে। জমে তা হয়ে ছিল  বেশ  কিছু টাকা।  ৪০০ মানুষকে খাওয়াতে গেলে লাগবে আরো টাকা । সাহায্যের হাত বাড়িয়ে  দেয় শুভাশীষ দাস। সাত দিন আগে তৈরী হয়ে যায় মেনু। শুক্রবার সকাল থেকে কেনা কাটি শুরু করেন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় রান্না। দুই পরিবার ও শুভাশীষ দাস নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে রান্নার দেখা শোনা করেন। দুপুর হতে  ভিড় জমতে থাকে স্টেশন চত্ত্বরে। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় খাওয়ানো। শুধু ভবঘুরে নয়  স্টেশন চত্বরে আশে পাশে থাকা গরিব মানুষদের এদিন খাওয়ানো হয় শেওড়াফুলি চার নং প্লাটফর্মে। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল,পটল আলুর তরকারি, মুরগির মাংস এবং শেষ পাতে মিষ্টি।পরিবারের এক সদস্য বলেন আমাদের পাশে এই ভাবে দাঁড়াবে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির বড় বাবু সহ পুলিশকর্মীরা ভাবতেই পারিনি। আমরা সবাই মিলে তাদের পাশে থেকে খাওয়াতে  পেরেছি এর থেকে বড় আনন্দ আর কিছু হয় না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।